মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমাদের জানা-অজানা ব্লক সাইডে আমাদের এখনকার আয়োজনে রয়েছে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কথা সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সংক্ষিপ্ত বাংলা জীবনী। আর যারা এই মুহূর্তে আমাদের এই ব্লগটি পড়ছেন তাদের মধ্যে কেউ যদি চান আপনাদের কোন প্রিয় ব্যক্তিত্ব অথবা জানার আগ্রহ আছে এমন কোন ব্যক্তিকে নিয়ে আমাদের পরবর্তী ব্লগ প্রয়োজন।তারা অবশ্যই কমেন্ট করুন এবং সাবস্ক্রাইব করুন ,তাহলে সর্বপ্রথম নোটিফিকেশন আপনার কাছে পৌঁছে যাবে। চলুন শুরু করি ব্লকটি শুরু করি।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৫৬)

ভূমিকা:-

রবীন্দ্র-শরৎ উত্তরপর্বে বাংলা কথাসাহিত্যের গতি পরিবর্তনে যে তিনজনের নাম একসঙ্গে উচ্চারিত হয় তাঁরা হলেন বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রয়ী—বিভূতিভূষণ, তারাশংকর ও মানিক। বিভূতিভূষণ মানুষকে ভালোবেসে, আস্তিক্যবাদী দর্শনে বিশ্বাসী হয়ে প্রকৃতির টানে কথাসাহিত্যে ফসল ফলিয়েছেন। অন্যদিকে তারাশংকর মাটির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ককে এবং মানুষের মুক্তি লাভের পথকে তাঁর কথাসাহিত্যে রূপ দিয়েছেন। আবার এই দুজনের থেকে স্বতন্ত্র মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় জীবনের বাস্তবভূমিতে পদচারণা করে, বাস্তবের গভীরে ডুব দিয়ে জীবনের জটিলতাকে ধরতে চেয়েছেন। সেজন্য তথাকথিত রোমান্টিকতা পরিত্যাগ করে মানিক বস্তুবাদ ও বিজ্ঞানদৃষ্টিকে গ্রহণ করেছেন। শুধু তাই নয়, সামাজিক সমস্যা ও ব্যক্তির পতনের কারণগুলিকে অনুসন্ধান করে তাকে তাঁর কথাসাহিত্যে রূপায়ণের চেষ্টা করেছেন। এদিক থেকে তিনি দুঃসাহসী লেখক।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্ম পরিচয়:-

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ মে (১৩১৫ বঙ্গাব্দের ৬ জ্যৈষ্ঠ) বিহারের সাঁওতাল পরগনা,বর্তমান ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দুমকা শহরে জন্ম গ্রহণ করেন।তার পৈতৃক বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরের বর্তমান লৌহজং এ। জন্মপত্রিকায় তার নাম রাখা হয়েছিল অধরচন্দ্র। তার পিতার দেওয়া নাম ছিল প্রবোধকুমার আর ডাকনাম মানিক। তার পিতার নাম হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাতা নীরদাসুন্দরী দেবী। চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন অষ্টম। পিতা হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তদানীন্তন ঢাকা জেলার সেটেলমেন্ট বিভাগের সাব-রেজিস্টার। পিতার বদলির চাকরির সূত্রে মানিকের শৈশব-কৈশোর ও ছাত্রজীবন অতিবাহিত হয়েছে বাংলা-বিহার-ওড়িষার দুমকা, আরা, সাসারাম, কলকাতা, বারাসাত, বাঁকুড়া, তমলুক, কাঁথি, মহিষাদল, গুইগাদা, শালবণি, নন্দীগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল প্রভৃতি শহরে।

Read More:- সবাইকে হাতের মুঠোয় আনতে পারবেন কী ভাবে ?

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ছাত্রজীবন:-

মানিকের প্রথম শিক্ষারম্ভ হয় তাঁর বড়দা সুধাংশুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে কলকাতার মিত্র ইন্সটিটিউশনে। সুধাংশুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি নিয়ে কলকাতার বাইরে চলে যাওয়ায় মানিককে লেখাপড়ার জন্য পিতার কাছে টাঙ্গাইলে চলে যেতে হয়। তারপর টাঙ্গাইলে, মহিষাদলে, ব্রাহ্মণবেড়িয়ায়, মেদিনীপুরের নানা জায়গায় পড়াশুনা করেন। মেদিনীপুর জিলা স্কুল থেকেই মানিক ১৯২৬ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় পাশ করেন। সম্ভবত টাঙ্গাইলে থাকবার সময়েই মানিকের জীবনে এক প্রচণ্ড আঘাত আসে।  ১৯২৪ সালের ২৮শে মে মায়ের মৃত্যুর পর মানিকদের টাঙ্গাইলের বাস উঠে যায়। সকলেই চলে আসেন কাঁথিতে। মানিক ভর্তি হন কাঁথি মডেল হাইস্কুলে। কিন্তু বেশীদিন তাঁর সেখানে পড়া হয়নি।  মানিককে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মেদিনীপুরে তাঁর বড়দির কাছে। দীর্ঘকাল রোগভোগের পরে মানিক মেদিনীপুর জিলা স্কুল থেকেই পরে ম্যাট্রিক পাশ করেন। তারপর মানিক ভর্তি হন বাঁকুড়া ওয়েসলিয়ন কলেজে। সেখান থেকে ১৯২৮ সালে তিনি আই. এস-সি. পরীক্ষায় পাশ করেন। এই কলেজটি মিশনারীদের কলেজ।  ১৯২৮ সালে মানিক এসে ভর্তি হলেন প্রেসিডেন্সি কলেজে।  কলেজে বি. এস. সি. অঙ্কে অনার্স করেন ।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কর্মজীবন:-

সাহিত্যের জগতে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবির্ভাব ঘটেছিল আকস্মিকভাবে। প্রেসিডেন্সিতে পড়ার সময় সহপাঠী বন্ধুদের সঙ্গে একদিন গল্পে মেতেছিলেন তিনি। কথাপ্রসঙ্গে এক বন্ধু বলেছিলেন যে, নামকরা লেখক না হলে বিখ্যাত পত্রিকাগুলো লেখা ছাপায় না। এ প্রসঙ্গে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে লেখা ভালো হলে অনামি লেখকের রচনাও নিশ্চয়ই ছাপা হবে। বন্ধুদের সঙ্গে এই নিয়ে তর্ক বাঁধলে তিনি তাঁদের বলেন যে, তিন মাসের মধ্যেই তিনি তাঁর বিশ্বাসের সত্যতার প্রমাণ দেবেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তাই ‘অতসী মামী’ নামক একটি গল্প লিখে তখনকার নামি পত্রিকা বিচিত্রার অফিসে জমা দিয়ে আসেন। লেখক হিসেবে তিনি ‘প্রবোধকুমার’ নাম না দিয়ে ‘মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়’ নামটিই সেখানে ব্যবহার করেন। যথাসময়ে সেই গল্পটি মুদ্রিত হয় এবং লেখক ও পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এভাবেই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখকজীবনের সূচনা হয়। ‘অতসী মামী’ গল্পটি প্রকাশের পর বিভিন্ন পত্রপত্রিকা থেকে মানিকের কাছে লেখার জন্য ডাক আসতে থাকে। তিনিও মনপ্রাণ দিয়ে লিখতে থাকেন। অভিভাবকরা তাঁকে লেখাপড়ায় মন দিতে বললেও তিনি তাঁদের কথায় কান দেননি | অবশেষে লেখাপড়ায় ইতি টেনে তিনি সাহিত্যকর্মকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গশ্রী পত্রিকার সহসম্পাদক নিযুক্ত হলেও পত্রিকার মালিকের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সেই চাকরিতে ইস্তফা দেন। এরপর তিনি তাঁর ছোটোভাই সুবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘উদয়াচল প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিশিং হাউস’ নামক একটি প্রেস ও প্রকাশনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তবুও সারাজীবন এই প্রতিভাবান সাহিত্যিককে দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করতে হয়েছে।

Read More:- স্বামী বিবেকানন্দে জীবনী

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাহিত্যকর্ম:-

প্রথম জীবন থেকে মানিক ছিলেন দুরন্ত, চঞ্চল, নির্ভীক ও হাসিখুশি স্বভাবের। শৈশব থেকেই তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তবে প্রেসিডেন্সি কলেজে গণিতশাস্ত্রে বি.এস.সি অনার্স নিয়ে পড়া শুরু করলেও কৃতকার্য হতে পারেননি। ‘গল্প লেখার গল্প’-তে তিনি জানিয়েছেন, “ক্লাসে বসে মুগ্ধ হয়ে লেকচার শুনি, ল্যাবরেটরিতে মশগুল হয়ে এক্সপেরিমেন্ট করি, নতুন এক রহস্যময় জগতের হাজার সংকেত মনের মধ্যে ঝিকমিকিয়ে যায়। হাজার নতুন প্রশ্নের ভারে মন টলমল করে। ছেলেবেলা থেকে ‘কেন’? মানসিক রোগে ভুগছি, ছোটবড় সববিষয়েই মর্মভেদ করার অদম্য আগ্রহ যে রোগের প্রধান লক্ষণ।” বিজ্ঞানের মেধাবী ছাত্র মানিক বিজ্ঞানমনস্কতা নিয়েই সাহিত্য সাধনার কাজে ব্রতী হয়েছিলেন।

উপন্যাস :

১৯৩৫ সালে তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘জননী’। তার পূর্বে ১৯২৮ সালে বন্ধুদের সঙ্গে বাজি রেখে তাঁর প্রথম গল্প ‘অতসীমামী’ ‘বিচিত্রা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তাঁর প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থগুলি হলঃ ‘দিবারাত্রির কাব্য’ (১৯৩৫), ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ (১৯৩৬), ‘পদ্মানদীর মাঝি’ (১৯৩৬), ‘সহরতলী’ (প্রথম পর্ব-১৯৪০, দ্বিতীয় পর্ব-১৯৪১), ‘অহিংসা’ (১৯৪১), ‘ধরা বাঁধা জীবন’ (১৯৪১), ‘প্রতিবিম্ব’ (১৯৪৩), ‘দর্পণ’ (১৯৪৫), ‘সহরবাসের ইতিকথা’ (১৯৪৬), ‘চিহ্ন’ (১৯৪৭), ‘আদায়ের ইতিহাস’ (১৯৪৭), ‘চতুষ্কোণ’ (১৯৪৮), ‘জীয়ন্ত’ (১৯৫০), ‘পেশা’ (১৯৫১), ‘স্বাধীনতার স্বাদ’ (১৯৫১), ‘সোনার চেয়ে দামী’ (১৯৫১), ‘ছন্দপতন’ (১৯৫১), ‘ইতিকথার পরের কথা’ (১৯৫২), ‘সার্বজনীন’ (১৯৫২), ‘আরোগ্য’ (১৯৫৩), ‘তেইশ বছর আগে পরে’ (১৯৫৩), ‘নাগপাশ’ (১৯৫৩), ‘চালচলন’ (১৯৫৩), ‘শুভাশুভ’ (১৯৫৪), ‘পরাধীন প্রেম’ (১৯৫৫), ‘হলুদ নদী সবুজ বন’ (১৯৫৬), ‘মাঝির ছেলে’ (১৯৬০) প্রভৃতি। তিনি মোট চল্লিশটি উপন্যাস রচনা করেছেন।

ছোটগল্প :

উপন্যাসের মতো ছোটগল্পেও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এক স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব। ‘বিচিত্রা’ পত্রিকায় (১৯২৮) তাঁর প্রথম গল্প ‘অতসীমামী’ প্রকাশিত হয়। তারপর থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত তিনি স্বচ্ছন্দে কথাসাহিত্য জগতে পদচারণা করেছেন। তাঁর গল্পের সংখ্যা প্রায় দু’শ এবং গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ষোল। তার গল্পগ্রন্থগুলি হল— ‘অতসীমামী ও অন্যান্য গল্প’ (১৯৩৫), ‘প্রাগৈতিহাসিক’ (১৯৩৭), ‘মিহি ও মোটা কাহিনী’ (১৯৩৮), ‘সরীসৃপ’ (১৯৩৯), ‘বৌ’ (১৯৪৩, মতান্তরে ১৯৪০), ‘সমুদ্রের স্বাদ’ (১৯৪৩), ‘ভেজাল’ (১৯৪৪), ‘হলুদপোড়া’ (১৯৪৫), ‘আজ-কাল-পরশুর গল্প’ (১৯৪৬), ‘পরিস্থিতি (১৯৪৬), ‘খতিয়ান’ (১৯৪৭), ‘মাটির মাশুল’ (১৯৪৮), ‘ছোটবড়’ (১৯৪৮), ‘ছোট বকুলপুরের যাত্রী’ (১৯৪৯), ‘ফেরিওলা’ (১৯৫৩), ‘লাজুকলতা’ (১৯৫৪)।

নাটক:

তার এক মাত্র নাটক ভিটেমাটি (১৯৪৬)

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর জীবনাবসান:-

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘজীবনের অধিকারী হননি। তাঁর সাহিত্যজীবন কেটেছে চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করে। নানাপ্রকার অসুখে আক্রান্ত হয়ে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর মাত্র আটচল্লিশ (৪৮) বছর বয়সে এই অসাধারণ প্রতিভাবান মানুষটির জীবনাবসান ঘটে।

উপসংহার :-

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এমন শিল্পী যিনি কলম হাতে মুখোশ রচনা করেননি। বরং মুখোশের আড়ালে রয়েছে, যে আদিম, কৃত্রিম, মেকি, সুবিধাবাদী রূপ তাকেই তিনি উন্মোচন করেছেন শিল্পীজনোচিত দৃষ্টিভঙ্গিতে। এখানে রবীন্দ্র-শরৎ উত্তরসাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা। তাই ভূদেব চৌধুরী লিখেছেন,“আমাদের কথাসাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন আগুনের এক মস্ত মশাল; বুঝি দেশকালের প্রতিকূলতার ফলেই সে মশাল আকাশে ঊর্ধ্বশিখা মেলে জ্বলবার সাধনায় অনেকখানি ধোঁয়া আর ছাই হয়ে নিঃশেষিত হয়ে গেল। এই মহৎ বিনষ্টি ইতিহাসের পরম জিজ্ঞাসার উপকরণ, একদিন তার উত্তর নিজের প্রয়োজনেই খুঁজে পেতে হবে দেশকে—দেশের সাহিত্যকে।

Read More:- ধানের রোগ ও তার প্রতিকার

FAQ

Q-1. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম গল্পের নাম কী ?

উত্তর:- ‘অতসীমামী’ (১৯২৮)

Q-2. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস কোনটি

উত্তর:- ‘পদ্মানদীর মাঝি’ (১৯৩৬)

Q-3. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল নাম কী ?

উত্তর:- প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।

Q-4. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর:- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ মে (১৩১৫ বঙ্গাব্দের ৬ জ্যৈষ্ঠ) বিহারের সাঁওতাল পরগনা,বর্তমান ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দুমকা শহরে জন্ম গ্রহণ করেন।

Q-5. অতসীমামী কত সালে প্রকাশিত হয়?

উত্তর:- ‘অতসীমামী’ (১৯২৮) সালে প্রকাশিত হয়।

Q-6. প্রাগৈতিহাসিক গল্পটি কত সালে প্রকাশিত হয় ?

উত্তর:- ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয়।

1 thought on “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়”

Leave a Comment